সাউথ আফ্রিকায় খুব ভালো খেলেছিলেন তাসকিন। বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলারÑআমাদের সবার খুব প্রিয় ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ। খেলতে খেলতেই হাতে আঘাত পান তিনি। ফিরে এলেন দেশে। চিকিৎসা চলছে তার। ইকরিমিকরি বন্ধুদের ভালোবেসে মুখোমুখি হলেন রামিনের।
রামিন : কেমন আছ?
তাসকিন : ব্যথা আছে। ডাক্তাররা বলেছেন সেরে উঠব তাড়াতাড়ি।
রামিন : ইকরিমিকরির সব বন্ধু এবং দেশের মানুষের ভালোবাসায় খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে তুমি। এবং খুব তাড়াতাড়ি আবার খেলায় ফিরতে পারবে আশা করি।
তাসকিন : হ্যাঁ, আমিও তাই বিশ্বাস করি। আসলে মনের জোর আর বিশ্বাসটাই বড় কথা। এটা থাকলে সব পেয়ে যাওয়া যায়।
রামিন : তোমার সাফল্যের পেছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি?
তাসকিন : অবশ্যই মা-বাবার। তারাই তো খুব কষ্ট করে আমাদের বড় করে তোলেন, তাই না? আমাকেও মানুষ বানাতে খুব কষ্ট করেছেন তারা। ইকরিমিকরির সব বন্ধুর মা-বাবাও নিশ্চয় তোমাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। তারাই সব। আমি বলব, তোমরা সব সময় মা-বাবার কথা শুনবে। আমি আমার মা-বাবার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব সারা জীবন।
রামিন : তোমার স্কুলজীবনটা কেমন ছিল?
তাসকিন :স্কুলের সময়টাই আমার জীবনের সবচেয়ে মজার ছিল। তোমরা সবাই বেশি বেশি উপভোগ করো এই সময়টা। আমি তো এখনো স্কুলে যেতে চাই; কিন্তু যেতে পারি না। স্কুলে খুব মজার স্মৃতি আছে আমার। কিং খালেদ ইনস্টিটিউট থেকে আমি এসএসসি পাস করি। সেখানেই কেজিতে ভর্তিহওয়ার সময় ১ থেকে ১০ পর্যন্ত লিখতে দিয়েছিল। তো আমি কী করলাম জানো! ১০০ পর্যন্ত লিখে ফেললাম। কারণটা কী বলো তো! হা হা হা। আমার পরের প্রশ্নের উত্তরটা জানা ছিল না। আর মজার বিষয় হলো, আমি চান্স পেয়েছিলাম। আর শোনো, আমি বাচ্চাদের খুব পছন্দ করি। স্কুলপড়–য়াদের আমি খুব ভালোবাসি।
রামিন : পহেলা বৈশাখ এবং ঈদের শুভেচ্ছা তোমাকে।
তাসকিন : তোমাদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা। ইকরিমিকরিকে আমি খুব ভালোবেসে ফেলেছি। এখন থেকে আমিও ইকরিমিকরির বইগুলো আর পত্রিকাটা পড়ব। আর আগামী বৈশাখে এবং ঈদে আমার মজার মজার স্মৃতিগুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করব। খুব হাসিখুশি থেকো, খুব মজা করে সময় কাটাও। বৈশাখ এবং ঈদের শুভেচ্ছা।