গল্প : আলী হাবিব।
ছবি : প্রসূন হালদার
নড়াইল শহরটা আলমগীরের ভালো লেগেছে। শহরের দক্ষিণ দিকে চিত্রা নদী। বাবার অফিসের কাছেই খেয়াঘাট। স্থানীয়রা বলে খেওয়া। আলমগীরদের বাসাটাও খেয়াঘাটের কাছাকাছি। বাড়ির বারান্দায় দাঁড়ালেই খেয়া পারাপার দেখা যায়।
আবার ডিঙি নৌকাও চলে। নদীর ওপারে দুটি রাস্তা দুই দিকে চলে গেছে। হাতের বাঁ দিকের রাস্তাটি গেছে লোহাগাড়ার দিকে। ডান দিকের রাস্তা ধরলে কালিয়া। সকালে বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে নদীর দিকে তাকালে সারা দিনের জন্য মন ভালো হয়ে যায়।
নৌকায় জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য তো অপূর্ব। বাসার সামনে দিয়ে যে একটা রাস্তা সোজা পশ্চিম দিকে চলে গেছে, এই রাস্তা ধরে গেলে নড়াইলের বাজার। স্থানীয়দের ভাষায় ‘ট’ বাজার। বাবা রোজ সকালে খালুই হাতে বাজার করতে যান। টাটকা মাছ পাওয়া যায়। নদীর মিষ্টি মাছ। বাবার অফিসের কাছ থেকে সোজা রাস্তাটা চলে গেছে যশোরের দিকে।
এই রাস্তা ধরে একটু পশ্চিম দিকে গেলেই নড়াইল প্রাথমিক বিদ্যালয়। টিনের দোচালা, ইটের দেয়াল।