কৌতুক রসবোধের জন্য সারা দেশব্যাপী খ্যাতি ছিল গোপাল ভাঁড়ের। তার জীবনে ঘটে যাওয়া রসিকতাগুলো মানুষের মুখে মুখে গ্রামগঞ্জ থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে যায়। গোপালের গল্পগুলো খুব হাসির এবং চটুল হলেও তার জীবন কিন্তু খুব একটা আনন্দপূর্ণছিল না। বাবা-মা মারা যান ছোটবেলাতেই। যা হোক বড় হয়ে গোপাল রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় কাজ পেয়ে যান এবং এরপর তার জীবন বদলে যায়। গোপাল ভাঁড়ের সাথে নাসিরুদ্দিন, তেলানি রামান ও বীরবলের তুলনা করা হয়। কারণ ওদের মতো তার গল্পগুলো সংক্ষিপ্ত, আনন্দদায়ক এবং সকলের পড়ার জন্য।
গোপাল একবার গ্রামের মোড়ল হয়েছিল। তো একদিন ভোরবেলায় এক লোক এসে ডাকতে লাগল, ‘গোপাল? গোপাল?’ গোপাল ভাঁড় কোনো উত্তর না দিয়ে শুয়েই রইল। এবার লোকটা চিৎকার করে ডাকতে লাগল, ‘মোড়ল সাহেব, মোড়ল সাহেব।’ এবারও গোপাল কোনো কথা না বলে চুপচাপ শুয়ে রইল।
গোপালের বউ ছুটে এসে বলল, ‘কী ব্যাপার, লোকটা মোড়ল সাহেব মোড়ল সাহেব বলে চেঁচিয়ে পাড়া মাত করছে, তুমি কিছুই বলছ না!’
গোপাল একটুখানি চুপ করে রইল। তারপর বলল, ‘আহা, ডাকুক না কিছুক্ষণ, পাড়ার লোকজন জানুক আমি মোড়ল হয়েছি।’